কুলেখাড়া পাতার উপকারিতা

 কুলেখাড়া শাকের উপকারিতা

কুলেখাড়া একটি অন্যতম উপকারী শাক যার পুরো অংশটাই ব্যবহার হয় মূল থেকে পাতা পর্যন্ত। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতে কুলেখাড়ার মূল, পাতা, কাণ্ড, ফুল, ফল সবটাই ব্যবহৃত হয়। 

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি:

কুলেখাড়া পাতার রস আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। কুলেখাড়া শাকে বিপুল পরিমাণে আয়রন থাকে যা অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করতে কাজ করে। কুলেখাড়া শাকে বিপুল পরিমাণে আয়রন থাকায় খুব সহজেই অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে পারে

কুলেখাড়া পাতার উপকারিতা

ব্যথা উপশম:

কুলেখাড়া শাক ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। তাই, শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যথায় কুলেখাড়ার কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খাওয়া আরামদায়ক।  

ডায়াবেটিস মোকাবিলা:

কুলেখাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

হাড়ের মজবুতি:

কুলেখাড়া শাক খেলে আমাদের শরীরে হাড় মজবুত হয়। কারণ কুলেখাড়া শাকে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

পৌরুষ শক্তি বৃদ্ধি:

যাদের যৌবন শক্তি কমে গেছে কুলেখাড়া শাক তাদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ সমাধান। এই গাছের মূলের গুঁড়ো দুধে মিশিয়ে খেলে লাভদায়ক ফল পাবেন।

রক্তক্ষরণ বন্ধ:

হঠাৎ কোথাও কেটে গেলে যদি রক্ত পড়া বন্ধ হতে না চায়, তখন কুলেখাড়া পাতা লাগিয়ে দিলে খুব সহজেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

ইমিউনিটি বৃদ্ধি:

কুলেখাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি ও ঠান্ডাতে কুলেখাড়া পাত ভালই কাজ দেয়।

মূত্র বৃদ্ধি:

কুলেখাড়া মূত্রনালীর দোষ প্রশমন করে। মূত্র বৃদ্ধি করে  কুলেখাড়া দেহের শোথ বা ফোলা কমায়।

ইউরিক অ্যাসিড ও বাত:

কুলেখাড়া পাতা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমান স্বাভাবিক রাখে। কোমরের বাতেও কুলেখাড়া শাক খুব ভাল কাজে দেয়।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url