আমন্ড বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
আমন্ড বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন আমন্ড বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। আমন্ডের উপকারিতা বিচার করলে একে সুপারফুড বলা যেতে পারে।
আমন্ড কোলেস্টেরল কমায়:
আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে আমন্ড বাদাম খেলে রক্তে-প্রবাহে ভিটামিন ই এর মাত্রা বাড়ে। আপনার রক্তের প্রবাহে ভিটামিন ই-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি হয় যা আপনার কোষগুলিকে কোলেস্টেরল তৈরি করতে বাধা দেয়। এইজন্য প্রতিদিন এক মুঠো আমন্ড বাদাম খাওয়া আপনাকে কোলেস্টেরল হওয়া ও হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে পারে।
আমন্ড ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে:
আমন্ড বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য গুরুত্বপূর্ন। কারন এটি ডায়াবেটিসকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। আমন্ড বাদামে উপস্থিত এই ম্যাগনেসিয়াম ইন্সুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমায় যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ভাল।
আমন্ড ওজন কমায়:
আমন্ড বাদামে প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম যা আপনার ক্ষুধা নিবারণ করে। এটি দৈনিক ভিত্তিতে গৃহিত-ক্যালোরির সংখ্যাও কমাতে সাহায্য করে। আমন্ড বাদাম আপনার ক্ষুধা-অনুভূতি নিবারণ করার মাধ্যমে আপনি যা খান তা নিয়ন্ত্রণ করে যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আমন্ড চোখকে ভালো রাখে:
আমন্ড বাদাম আপনার চোখের জন্য খুব ভালো। এটি ভিটামিন ই এর বরো উৎস যা আপনার চোখকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং চোখের লেন্সের অস্বাভাবিক পরিবর্তন রোধ করে।
আমন্ড ত্বকের পুষ্টি জোগায়:
আপনি হয়তো পড়েছেন যে আমন্ড বাদাম বেশিরভাগ ত্বকের পণ্যের একটি প্রধান উপাদান। এটি এই কারণে যে এই বাদামে আপনার ত্বকের জন্য প্রয়োজনিয় পুষ্টি উপাদান বর্তমান। গ্রিন টি এবং ব্রকলির মত আমন্ড বাদামেও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এই উপাদানটি আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং এটি অ্যান্টি-এজিং গুনযুক্ত।