কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
আমাদের শরীরের অসহ্যকর একটি সমস্যা হল বাতের ব্যথা। একটু বয়স হলে বেশিরভাগ মানুষেরই এই ব্যথায় ভোগে। অস্থিজয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমে এই রোগের সূত্রপাত ঘটায়। খাবারের অনিয়ম হলে এই ব্যথা আরো বাড়তে থাকে। এখন দেখে নেওয়া যাক কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
ভাজা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার
ভাজাপোড়া বা কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাতের রোগীদের জন্য একদমই ভালো নয়। এগুলি খেলে আপনার হাতে, পায়ে জয়েন্টের ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। এই খাবারগুলিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি, লবণ এবং ফ্যাট।আপনার বাতের ব্যথা থাকলে এই খাবারগুলো খাওয়া থেকে আমাদেরকে বিরত থাকতে হবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার
বাতের সমস্যা বাড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হল চিনি। বাতের রোগীরা সর্বদা চিনি যুক্ত খাবার যেমন চকলেট,আইসক্রিম,ক্যান্ডি এড়িয়ে চলবেন। নাহলে এই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকবে এবং হাঁটতেও অসুবিধা হবে।
সোডা ও কোল্ড ড্রিঙ্কস
গরমের মধ্যে তৃষ্ণা মেটাতে আমরা নানা ধরনের সোডা ও কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করে থাকি। তবে এই পানিওগুলোতে প্রচুর পরিমাণে চিনে থাকে যা খেলে আপনাদের এই ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে চিনি যুক্ত চা ও ফলের রস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
আটা, ভাত, ময়দা
আপনাদের যাদের বাতের ব্যথা সমস্যা রয়েছে তাদের আটা, ভাত, ময়দা এগুলি কম খাওয়াই ভালো, এগুলি খেলে আপনার বাতের ব্যথা অনেকটা বাড়তে পারে।
ডিমের কুসুম:
ডিম খুবই পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু এর কুসুমে আছে অ্যারাকিডনিক অ্যাসিড নামক ফ্যাটি অ্যাসিড যা বাতের ব্যথা বাড়াত পারে। যাঁরা অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে ডিমের সাদা অংশ খেতেই পারেন।
লবণ
লবন হল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনিয় একটি খনিজ। লবণ ছাড়া রান্না থাকে স্বধহীন। তবে এটি বেশি খাওয়া কখনোই উচিত নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে বেশি লবণযুক্ত খাবার বাতের ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার বাড়াতে পারে স্থলতা, কমিয়ে দিতে পারে ইনসুলিনের উৎপাদানও। তাই বাতের রোগীরা খাবারে লবণ কমান।
রেডমিট
রেডমিট হল সুস্বাদু একটি খাবার। তবে এটি বাতের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ এই মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। আর আছে ইন্টরলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন ও হোমোসিস্টেইন যার কারণে অতিরিক্ত রেডমিট খেলে প্রদাহের মাত্রা বাড়ে দিতে। তাই গাউট রোগীদের রেডমিট খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।