সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম সিদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ডিমের জুড়ি নেই। ডিম খাওয়ার সকল ধরনের উপায়ের মধ্যে ডিমকে সিদ্ধ করে খাওয়া সবচেয়ে পুষ্টিকর বলে মনে করা হয়। আপনার খাদ্যতালিকায় সেদ্ধ ডিম অন্তর্ভুক্ত করা কেন সবচেয়ে পুষ্টিকর পছন্দগুলির মধ্যে একটি তা জেনে নিন।
পুষ্টিগুণ বাড়াতে সেদ্ধ ডিম:
১.কম ক্যালোরি, বেশি পুষ্টি:
ডিমে ক্যালোরি কম এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ ভরপুর। এতে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে।
২.প্রোটিনের গুন:
সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে পরিচিত। সেদ্ধ ডিম খাওয়া পেশী মেরামত করতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩.ভিটামিন এবং খনিজ:
সেদ্ধ ডিম বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস যমন ভিটামিন ডি, সমস্ত বি ভিটামিন (বিশেষ করে বি 2 এবং বি 12), জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলি প্রধানত ডিমের কুসুমে অবস্থিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সেদ্ধ ডিম:
১.তৃপ্তি এবং ওজন হ্রাস:
আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাবার চেষ্টা করে থাকেন তবে ডিম সিদ্ধ আপনাকে সাহায্য করতে পারে। সিদ্ধ ডিম চর্বিহীন প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। তা আপনাকে ক্যালোরিতে প্যাক না করেই পেট ভরার অনুভুতি দেবে, যা আপনার ওজন কমাতে সহায়ক।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সিদ্ধ ডিম:
১.কোলেস্টেরল ব্যবস্থাপনা:
ডিমের কুসুম ক্ষতিকর কোলেস্টেরল(LDL) কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের (HDL) মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
২.চোখ, চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য:
সিদ্ধ ডিমে পাওয়া লুটেইন এবং জেক্সান্থিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ডিম মিথিওনিনের মতো অ্যামিনো অ্যাসিডে সমৃদ্ধ যা ত্বকের টোন ও নমনীয়তা এবং চুল ও নখের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩.মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি:
কোলিন হল ডিমে পাওয়া একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান যা স্নায়ু ও হৃদযন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। এটা মস্তিষ্কের ঝিল্লি গঠন করতে ও স্নায়ু থেকে পেশিতে সংবেদন পৌঁছাতে সহায়তা করে।
কারা ডিম এড়িয়ে চলবে
যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাদের বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। ইউরিক অ্যাসিডের প্রবণতা থাকলেও ডিম এড়িয়ে চলাই উচিত। ডিম শরীরের উত্তাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা বারাতে পারে। তাই আপনি যদি কোনো ক্রনিক অসুখে ভোগেন ডিম খাওয়ার ব্যপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার প্রতিদিনের খাবারে সিদ্ধ ডিম অন্তর্ভুক্ত করা আপনার সামগ্রিক সুস্থতা বাড়ানোর একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় হতে পারে। চিত্তাকর্ষক পুষ্টিগুনের পাশাপাশি, সেদ্ধ ডিম ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা থেকে শুরুকরে চোখ এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। একে স্বাধীনভাবে উপভোগ করুন বা সালাদ এবং অন্যান্য খাবারে যোগ করে খান ডিম সেদ্ধ আপনার খাদ্যতালিকার এক অপরিহার্য উপাদান।